কাঠবাদাম পুষ্টিগুণে ভরপুর।
কাঠবাদাম একটি জনপ্রিয় এবং স্বাস্থ্যকর খাবার। এতে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট শরীরের জন্য উপকারী এবং নিয়মিত খেলে এটি পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। ফালাক ফুডের প্রিমিয়াম কাঠ বাদাম সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক এবং সর্বোচ্চ গুনগত মানের নিশ্চয়তা দেয়।
কাঠবাদামের উপকারিতা:
- কাঠবাদামে আছে স্বাস্থ্যকর চর্বি (monounsaturated fat) যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
- এতে থাকা ভিটামিন E, ম্যাগনেশিয়াম ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড স্মৃতিশক্তি উন্নত করে এবং মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়।
- ভিটামিন E এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক ও চুলকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে, বার্ধক্য রোধে ভূমিকা রাখে।
- এতে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ম্যাগনেশিয়াম আছে, যা হাড়ের গঠন ও শক্তি বাড়ায়।
- কাঠবাদাম ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- উচ্চ প্রোটিন ও ফাইবার থাকার কারণে এটি দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে, ফলে অতিরিক্ত খাওয়া কম হয়।
- ফাইবার থাকার কারণে হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে।
কাঠবাদাম খাওয়ার স্বাস্থ্যকর ও সহজ উপায়:
- পদ্ধতি: রাতে ৫–৭টি কাঠবাদাম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খোসা ছাড়িয়ে খালি পেটে খান।
- উপকারিতা: হজম ভালো হয়, পুষ্টি সহজে শোষিত হয়, ও মস্তিষ্কের জন্য উপকারী।
- ভেজানো কাঠবাদামের সঙ্গে ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে খান।
- এটি শক্তি বাড়ায় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে।
- ল্যাকটোজ ইনটলারেন্টদের জন্য চমৎকার বিকল্প।
- কুচানো বা টোস্ট করা কাঠবাদাম সবজির সালাদে যোগ করলে স্বাদ ও পুষ্টি দুটোই বাড়ে।
- স্মুদিতে বা ব্রেকফাস্ট ওটসে ৩–৪টি বাদাম ব্লেন্ড করে মিশিয়ে নিতে পারেন।
- হালুয়া, পায়েস, কেক, কিংবা পুডিংয়ে কাঠবাদাম কুচি দিয়ে স্বাদ ও সৌন্দর্য বাড়ানো যায়।
শরীরের জন্য উপকারী কোলেস্টেরল পাওয়া যায় বাদাম থেকে। বাদামে রয়েছে সি-রিঅ্যাক্টিভ প্রোটিন ও ইন্টারলিউকিন যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। ফাইবার সমৃদ্ধ বাদাম দূর করে হজমের গণ্ডগোল। বাদাম খেলে হৃদপিণ্ড সক্রিয় থাকে। অতিরিক্ত খেলে পেটে গ্যাস, ওজন বেড়ে যাওয়া বা অ্যালার্জি হতে পারে। দৈনিক ৫–১০টির বেশি খাওয়া উচিত নয়।
Reviews
There are no reviews yet.